ভারতের ছয় বিমানবন্দরের পরিচালনা দায়িত্বের পরে এবার মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও দায়িত্ব নিল আদানি গোষ্ঠী। বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর উন্নতি ও পরিসেবার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই গোষ্ঠীকে।
মঙ্গলবার এই ঘোষণার পরে বুধবার আদানি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের জন্য ভারতের বিমান পরিসেবায় যে সমস্যা হয়েছে, সেখান থেকে এই সেক্টরকে বের করে আনার জন্য যা যা সাহায্যের প্রয়োজন তা করতে তৈরি আছে আদানি গোষ্ঠী। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
ভারতের অন্যতম বড় ও ব্যস্ত বিমানবন্দরের মধ্যে আছে এই মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। দায়িত্ব নেওয়ার পরে গৌতম আদানি অবশ্য বলেননি, করোনা সংক্রমণের ফলে পরিকাঠামোর উন্নতির পরিকল্পনায় কোনও সমস্যা হতে পারে কিনা। যদিও মার্চ মাস থেকে কার্যত বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিসেবা। অভ্যন্তরীণ বিমান পরিসেবা শুরু হলেও তা সংখ্যায় এখনও অনেকটাই কম।
ফিচ নামের একটি সংস্থা গত মাসে জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ভারতের বিমান পরিসেবা স্থিতিশীল হচ্ছে। ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়ছে। তবে এখনও তা আগের থেকে কম বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি । তারা আরো বলেন, গত বছর এই সময়ের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ যাত্রী চাহিদার তুলনায় এ বছর চাহিদা এখনও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রয়েছে।
গৌতম আদানি জানিয়েছেন, ভারত সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে ২০০টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করার। এর ফলে কয়েক লাখ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিসেবা পাবে প্রতিদিন। ভারতের অন্তত ৩০টি বড় শহরে দুটি করে বিমানবন্দর দরকার বলে জানিয়েছেন তিনি। আদানি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার আরও বলেন, “আদানি এয়ারপোর্টস এই পরিকাঠামো তৈরি করার কাজে সাহায্য করার জন্য তৈরি।”
আদানি এন্টারপ্রাইজের একটি সংস্থা হল এই আদানি এয়ারপোর্টস। ইতিমধ্যেই ছ’টি বিমানবন্দরের পরিকাঠামোর উন্নতি ও পরিসেবার দায়িত্ব পেয়েছে এই সংস্থা। এই বিমানবন্দরগুলির মধ্যে আহমেদাবাদ, জয়পুর, গুয়াহাটির মতো বিমানবন্দর রয়েছে। এগুলি পর্যটনের কেন্দ্র। তাই এখানে প্রচুর যাত্রী চলাচল করেন।
অবশ্য ইতিমধ্যেই এভাবে বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে যাওয়ার বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। রেল, বিমান প্রভৃতি পরিসেবায় বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য মোদী সরকারের সমালোচনা করেছে তাঁরা।
সূত্র : দ্য ওয়াল
Development by: webnewsdesign.com