
নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট
জয়পুরহাট সদর উপজেলার কয়তাহার গ্রামের রিকশাচালক গোলাম মোস্তফার মেয়ে নাসরিন আক্তার সুমির মেডিক্যালে পড়ালেখার দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা গ্রুপ।
জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক পাস করার পর সুমির বিয়ে হয়। কিন্তু বাবা রিকশাচালক হওয়ায় মাত্র তিন মাসের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে সুমির। তারপরও থেমে না গিয়ে সুমি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এবার এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রংপুর মেডিক্যালে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম রিকশাচালক বাবার আয় দিয়ে মেডিক্যালে পড়ালেখা চালানো আদৌ সম্ভব কি-না তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন সুমি এবং তাঁর পরিবার। অদম্য মেধাবী সুমির এই অসাধ্য সাধনের গল্প ‘বিচ্ছেদেও ভেঙে পড়েননি, অপেক্ষা মেডিক্যালে ভর্তির’ শিরোনামে সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। বিষয়টি নজরে পড়লে তাঁর লেখাপড়ার দায়িত্ব নেয় বসুন্ধরা গ্রুপ। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের প্ষ থেকে সুমিকে ফোন করে নিশ্চিত করা হয়।
সুমি বলেন, মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পরিবারে আনন্দ ছিল না। কিন্তু সোমবার দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের ফোন পাওয়ার পর দুচোখে আনন্দাশ্রু ধরে রাখতে পারিনি। আমাদের মতো গরিবদের পাশে দাঁড়াবে বসুন্ধরা গ্রুপ,স্বপ্নেও ভাবিনি।’
সুমির বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, মেয়ের পড়ালেখা নিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ হওয়ার খবরে আমি খুবই খুশি হয়েছি। দোয়া করি ওর পড়ালেখার জন্য যারা এগিয়ে এসেছেন, আল্লাহ যেন তাদের মঙ্গল করেন।’
শুভসংঘর পরিচালক জাকারিয়া জামান জানান, শুধু সুমি নয়। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন শুভসংঘের মাধ্যমে সারা দেশে সুমির মতো দরিদ্র মেধাবীদের খুঁজে বের করে পড়ালেখার ব্যবস্থা করছেন।
Posted ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
dhakanewsexpress.com | Masud Rana