শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০ |
৮:১১ অপরাহ্ণ | 72 বার
পঞ্চগড় সহ জগদল বাজারে করোনা ভাইরাসের কারণে কাঁচাবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালে আগুন জ্বলছে। হঠাৎ করে লাফিয়ে লাফিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম যে হারে বাড়ছে। তাতে করে নিম্নবিত্ত নিম্নমধ্যবিত্তদের ব্যাগ হাতে বাজারে যাওয়া সর্বোচ্চ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অনেকেই ব্যাগ হাতে বাজার করতে এসে খালি ব্যাগ নিয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছে।
বিগত চার মাস ধরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন নামের যে লুকোচুরি খেলা চলছে। তাতে করে মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এর ভিতর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া, সব মিলে ভালো নেই নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষগুলো। বিগত বছরের তুলনায় অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। বিক্রেতারা বলছেন পাইকারি বাজারে দাম বেশী, যাতায়াত খরচ, খাজনা, চাঁদা, কাঁচা মাল নষ্টের কারণে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি দোকান সবজির দামে হেরফের দেখা গেছে। বাজারে ভিতরে রয়েছে দামের ভিন্নতা। সবজির মধ্যে শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ফুলকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনে পাতা ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকায় কাচামরিচ ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শীতের সবজির মধ্যে টমেটো থাকলেও এখন সারা বছরই টমেটো পাওয়া যায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে। শীতের সবজির সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে । আলু পুরাতন ৩৫ টাকা ও নতুন আলু ৫০ টাকা কেজি। শিমের কাঁচা বিচি ১৩০-১৫০ টাকা । মিষ্টি কুমড়া ছোট ৩৫ টাকা বড় ৫০ টাকা। ৯০টাক।ধেড়শ ৬০টাকা।পুঁইশাক ৩০টাকা ।কাচ কলা প্রতিপিচ ৫ টাকা। কচুর মুখি ৬০ টাকা। লাল শাক ১ গোছা ২০টাকা। শসা ৮০টাকা। লাউ ১ পিস ৫০টাকা। এব্যাপারে জগদল বাজার বণিক সমিতি সভাপতির (এম এ মানিক খান) সাথে কথা হলে তিনি জানান বর্ষা মৌসুমে সবজি উৎপাদন কম হয় ও বন্যায় সবজি ক্ষেত নষ্ট হয় তাই একটু দাম বেশি তারপরও আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি