
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট
নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ
-সংগৃহীত
গণপূর্তের সরকারি আবাসিক কলোনির ভবন নির্মাণ,রক্ষণাবেক্ষণ,উন্নয়ন ও মেরামত কাজে পিপিআর বিধিমালা অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে আজিমপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগে জানা গেছে, আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহম্মেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ঠিকাদারকে হয়রানি করায় গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একজন ভুক্তভোগী ঠিকাদার লিখিত অভিযোগ করেছেন । আর ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগকারীকে কালো তালিকাভুক্ত করণের প্রস্তুতিসহ তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং গণপূর্ত বিভাগের কোথাও ঠিকাদারির কাজ করতে না দেয়াসহ হয়রানি করার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী ঢাকা নিউজ এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন ।
অভিযোগকারী ঠিকাদার পল্টু দাস ঢাকা নিউজ এক্সপ্রেসকে বলেন, দুর্নীতি করে ইলিয়াস আহমেদ রাগব বোয়াল হয়েছেন । নিজ হাতে ঘুষ নিয়েছেন তিনি এ সংক্রান্ত সকল প্রমাণ আমার কাছে আছে । সময় হলে প্রমান উপস্থাপন করব এত বড় একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করার সাহস আমার নেই । ঘুষ ছাড়া কোনোভাবেই তিনি বিল দিতে রাজি হননি । পরে আরও ঘুষ দাবি করলে আমি রাজি হইনি । এজন্য তিনি বিল কম দিয়েছেন । অথচ পুরো কাজই শেষ করতে হয়েছে আমাকে ।
তদন্ত কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে পল্টু দাস বলেন, তদন্ত কমিটি আমাকে চিঠি দিয়েছে । তবে তারা এখনো আমাকে ডাকেনি ।
তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সংস্থাপন) নন্দিতা রাণী সাহার ফোনে বার বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তার টেলিফোনে ফোন করলে তার পিএ বলেন তিনি মিটিং এ আছেন এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে নারাজ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএ আলী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী পল্টু গত ২৯ মার্চ ইলিয়াস আহমেদের বিরুদ্ধে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ই-জিপি টেন্ডারে আজিমপুর বিভাগে একটি কাজ পাই। নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ আমাকে ডেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কাজ শেষে বিল দাখিলের পর আবারও মোট বিলের ১০ শতাংশ টাকা দাবি করেন ইলিয়াস। বিল পাওয়া নিয়ে ঝামেলা হবে ভেবে বাধ্য হয়ে প্রকৌশলী ইলিয়াসকে ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ দেই।
অভিযোগে আরও বলা হয়, চাহিদামতো ঘুষ না দেওয়ায় প্রায় দুই বছর ঘুরিয়ে একাধিক কিস্তিতে আমাকে বিল দেওয়া হয়েছে। এমনকি টেন্ডারে কাজ পাওয়ার সময় জামানত হিসেবে দেওয়া ১ লাখ ১৬ হাজার ৫শ টাকার চেক ইস্যু হওয়ার পরও অনেক ঘুরিয়ে আমাকে চেক দেওয়া হয়। সামান্য ১১ লাখ টাকার কাজের বিলের জন্য প্রকৌশলী ইলিয়াস আমাকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন এবং ক্ষতি করেছেন। আমি এমন স্বৈরাচারি এবং সাধারণ ঠিকাদারদের জন্য ক্ষতিকর চরিত্রের প্রকৌশলীর বিচার দাবি করছি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার পিএ’র মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন স্যার বাসায় চলে গেছেন।
Posted ১০:১৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ আগস্ট ২০২২
dhakanewsexpress.com | Masud Rana