
নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন তাঁর সহধর্মিণী ও বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান
-সংগৃহীত
বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে তাদের সন্তান হচ্ছিল না। এ নিয়ে মন খারাপের অন্ত ছিল না রহমান মাসুদ দম্পতির। অনেক সাধনার পরে তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যাসন্তান। নাম রাখেন ঋষিতা রাইসা। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। হঠাৎ তাদের সাজানো বাগানে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। তাদের বুকের ধন, আদুরে কন্যা রাইসার জীবন পড়ে যায় গভীর সংশয়ে।
চিকিৎসা শুরু করতে গিয়ে জানতে পারেন, রাইসা দুরারোগ্য হার্সপাঙ ও রেক্টোরাল ইনফাংশনাল ডিজিজে ভুগছে। প্রায় প্রতি পাঁচ লাখ মানুষের মধ্যে একজন এ রোগে আক্রান্ত হয়। রাইসার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা।
আজ পবিত্র জুমার দিনে রহমান মাসুদের দুশ্চিন্তা অনেকখানিই কমে এলো। রাইসার চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। তাঁর সহধর্মিনী বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান, ছেলে আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান ও মেয়ে আরিশা আফরোজা সোবহান ১০ লাখ টাকা অনুদানের চেক তুলে দেন রাইসার পিতার হাতে।
রহমান মাসুদ পেশায় সাংবাদিক। বর্তমানে তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজবাংলার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমে কাজ করেছেন। অনুদানের চেক পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘১০ বছর বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন গণমাধ্যমে কাজ করেছি। এখনো নিজেকে বসুন্ধরার একজন মনে করি।
একমাত্র কন্যা বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন,এ জন্য তার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’রহমান মাসুদ আরো জানান,বিয়ের পর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তাদের কোনো সন্তান হচ্ছিল না। এ নিয়ে তখন তাদের মন খারাপের অন্ত ছিল না। এরপর তাদের সংসার আলোকিত করে রাইসা জন্ম নেয়।
সব কিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু মাস ছয়েক আগে পরিবারে নেমে আসে দুশ্চিন্তার মেঘ। রাইসা অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর একপর্যায়ে জানতে পারেন,রাইসা দুরারোগ্য হার্সপাঙ ও রেক্টোরাল ইনফাংশনাল ডিজিজে ভুগছে। বর্তমানে ভারতের ভেলোরে ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জন অরুণ লাল লেলের অধীনে চিকিৎসা চলছে। এটি খুবই বিরল রোগ।সিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে রহমান মাসুদ বলেন,রোগটি বিরল হলেও নিরাময়যোগ্য। এর জন্য একটি বড় ধরনের সার্জারি করতে হবে। সার্জারিসহ পুরো চিকিৎসার ব্যয় অনেক বেশি। সে অবস্থায় মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি তাদের পাশে দাঁড়ানোয় মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে মনের ভেতরে বয়ে বেড়ানো অস্বস্তি অনেকখানিই কেটে গেছে। তিনি মেয়ের সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।
ঋষিতা সাইসা তুমি সুস্থ্য হয়ে উঠো। তোমার হাসিমুখ দেখার অপেক্ষায় আমরা। মানবিক কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীর স্যার ও উনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা।
Posted ৫:৫৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
dhakanewsexpress.com | Masud Rana