লোকসানের দায় শ্রমিকদের না চাপিয়ে দূর্নীতিবাজ আমলাদের বিচার, চিনিকল বন্ধ নয়, চালু রাখা ও আধুনিকায়নের দাবীতে বাম গণতান্ত্রিক জোট ঠাকুরগাঁওয়ে পথ সভা করেছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে ঠাকুরগাঁও চিনিকল চত্বরে এই পথ সভার আয়োজন করা হয়।
ঠাকুরগাঁও সিপিবি নেতা ইসমাইল আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন, বজলুর রশীদ, আনছার আলী দুলাল, নজরুল ইসলাম, শেখর রায়, দীপক রায়, শহীদুল ইসলাম সবুজ, মিনালকান্তি বর্মন, আইনজীবী আবু সাইয়েম, মনসুর আলী প্রমুখ।
এ সময় বক্তাগণ রাষ্ট্রীয় চিনিকল বন্ধ নয়, চালু ও আধুনিকায়ন করা, লোকসানের জন্য দায়ী নীতিনির্ধারক, দূর্নীতিবাজ আমলাদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবী, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও কৃষকদের আখের মূল্য পরিশোধ করা, আখ চাষীদের ন্যায্যমূল্যে সার, কীটনাশক সরবরাহ, চিনি শিল্পের বহুমুখীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ, উন্নত জাতের উদ্ভাবনে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন তারা।
বক্তারা আরো বলেন গত বছর আখ উৎপাদন হয়েছিল ৫৫ হাজার একর জমিতে। এবার আখ উৎপাদন হয়েছে ১৪’শ একর জমিতে। ভারত সরকার আখ থেকে উৎপাদিত চিনি বিদেশে রপ্তানি করার কথা ভাবছে। আর বাংলাদেশ সরকার সব চিনিকল গুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন যদি চিনি কল গুলো বন্ধ করা হয়।
তাহলে কৃষখ, শ্রমিক, জনতাসহ সকলে দূর্বার আন্দোলনের আহবান জানান তারা। আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন বলেন এক মন আখ থেকে উৎপাদিত হয় সাড়ে তিন কেজি চিনি, এক কেজি চিনি বিক্রী হয় ৬০ টাকা দরে। বাজাজ আসে ১৪ কেজি প্রতি কেজি বিক্রী হয় ৫টাকা দরে। মোলাচিস উৎপাদিত হয় ৬ কেজি প্রতি কেজি বিক্রী হয় ২৭ টাকা দরে। মার্ট উৎপাদিত হয় ২কেজি প্রতি কেজি বিক্রী হয় ১০ টাকা দরে।
এক মন আখ থেকে উৎপাদিত পন্যের বিক্রয় মুল্য আসে ৪’শ ৬৫ টাকা। আখ চাষীদের দেয়া হয় প্রতিমনে ১’শ ৪০ টাকা। থেকে যায় ৩’শত ২২টাকা, এই টাকা কোথায় যায়।
Development by: webnewsdesign.com