ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যানপুর রাধানগর, বাহাদুর পুর গ্রামের একটি ওয়াল ভিশণের সহায়তায় ১৫/২০ বছর আগের বাইপাস রাস্তার দুই পাশের ২০/৩০ টি গাছ ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান অবৈধ ভাবে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
গত ৩০ অক্টোবর শুক্রবার ইউনিয়নের বেরি বাঁধের স্লুইসগেট থেকে কল্যাণপুর, রাধা নগর, বাহাদুরপুর বাইপাস রাস্তার দুই পাশের অনেক পূরনো দামী মেহগনি গাছ কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে দিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার প্রধান চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান জানেন না। প্রশাসন এর আগে ও একই রকম কর্মকান্ডের অভিযোগ চেয়ারম্যান মাসুদের বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকাবাসীর।
এছাড়াও কয়েক মাস আগে বেড়িবাঁধ এলাকায় অবৈধ ভাবে ১ কোটি টাকার অধিক ড্রেজিং ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক ও দৈনিক আগামীর সময় অনলাইন প্রোটালে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর রাতের অন্ধকারে রাস্তার উপর গতিরোধক সহ পাইপ লাইন অপসারণ করা হয়।
পরের দিন ধুলশুরা ইউনিয়ন শিকারী পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ মাসুদুর রহমান কে তলব করেন উপজেলা প্রশাসন।
কারণ দর্শানের মত কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হয় জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান। দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় পার পেয়ে গেলেও ভিজিএফ কার্ডে
অনিয়মের অভিযোগ ও শিশু মাসিক কার্ডের অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয়রা যাহা এখনো ফাইল বন্ধি আছে উপজেলা প্রশাসনে।
গত ৩০ অক্টোবর শনিবার ও তার আগে গ্রাম পুলিশ মিজান গং এর কাছে ১২ হাজার টাকায় পানির ধরে বিক্রি করে দিলে স্থানীয়দের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় ও গুঞ্জন উঠলে ফেইসবুক সহ মিডিয়ার কাছে জানা জানি হলে দৈনিক আগামীর সময় অনলাইন প্রোটালে ভিডিও সাক্ষাৎকারে রাধা বল্বভ সহ অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এবিষয়ে মিশ্র বাকবিতন্ডায় এলাকাবাসী জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ীর প্রধান এস আই মুহিদুল কে চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ফোন করে জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা জানতে পারে।
এস আই মুহিদুল প্রশাসনের কোন অনুমতি না থাকায় গাছ কাটা বন্ধ করতে বলে এবং প্রশসনের সাথে আলোচনা করে ক্রেতা বিক্রেতার লোকজন ও এলাকা বাসীকে শান্ত থাকতে বলেন।
এব্যাপারে জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য মিডিয়ার কর্মি কে অনুরোধ করেন এবং বিভিন্ন ভাবে দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন আমি রাস্তার পাশের লোকজনদের গাছ কেটে নেওয়ার জন্য বলি, কিন্তু ওনারা গাছ কেটে না নেওয়ার কারনে জনগনের রাস্তার কাজ করতে সমস্যা হওয়ায় গাছগুলো কাটা হয়।
তবে আমি আগে-পরের যতগাছ কেটেছি ওইসব স্কুল মন্দিরে দিয়েছি বলে জানান চেয়ারম্যান মাসুদ। অন্যান্য বিষয়গুলো তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান এবং বলেন আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভালো কাজের বদনাম করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এবিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাসুদ চেয়ারম্যান আমার নিকটতম আত্মীয় তবুও তার অনিয়ম ও অনৈতিক কাজের কারনে আমার সাথে সম্পর্ক ভালো না।
তিনি আরো জানান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে গরীবের ভিজিএফ কার্ড, মাসিক কার্ডের চাউল নিয়ম মাফিক না দেওয়ার কারনে প্রতিবাদ জানাই, তিনি দলের নেতাদের নাম বিক্রি করে নিজের অবস্থান মজবুত করা সহ অনেক অভিযোগ আছে তার নামে।
স্থানীয় গোরস্থান মসজিদে রাস্তার টাকার আত্মসাৎ করার কথা উল্লেখ করে এ্যাডভোকেট আকমল বলেন আমি দুইটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাজ না করে বিল বানিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া আছে বলে জানান।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার এইচ এম সালাউদ্দিন মনজুর কাছে এলাকা বাসীর পক্ষে সুজিত সরকার নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।
তিনি অসুস্থ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিবুল ইসলাম জানান প্রক্রিয়াগত ছাড়া কোন কিছু কেউ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাছ গুলো সরকারি না বেসরকারি তা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু জানান বিষয়টি তিনি অবহিত নন। তবে সরকারি গাছ টেন্ডার ছাড়া কাটা ঠিক নয়। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি গাছ টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করার ক্ষমতা কারো নাই।
অভিযোগ হলে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
Development by: webnewsdesign.com