ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাণীশংকৈল থানার কাতিহারে হাট বাজার গুলোতে বেচা-কেনায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব। এতে করে মুখে মাস্ক ছাড়া অবস্থায় হাটে আসা লোকজনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। সরকারি ভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মুখে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হলেও তা লক্ষ করা যাচ্ছেনা ক্রেতা-বিক্রেতারা মুখে।
শনিবার (৪জুলাই)সরেজমিনে রানীশংকৈল থানাধীন কাতিহারে ঐতিহ্যবাহী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সহস্রাধিক গরু, ছাগল,হাস ও মুরগী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রেতারা। কিন্তু কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরুত্ব। মুখে মাস্ক ছাড়াই ক্রেতা-বিক্রেতারা জটলা করছেন হাটে। গরুর ও ছাগলের হাটে গিয়ে দেখলে বোঝার উপায় নেই, দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই নিয়মের তওয়াক্কা না করে চলাফেরা করছে।
কাতিহার হাটে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী জানান, করোনার জন্য দৈর্ঘ্যদিন ধরে গরু কেনা-বেচা করতে পারিনি। এত দিন বাড়ীতে ধার দেনা হয়েছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে হাটে এসেছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে এতদিন বাসার আশেপাশের দোকানগুলোতে বেশি দামে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করেছিলাম। লকডাইনে হাটবাজার গুলো সন্ধা ৭পযন্ত খুলা থাকায় বাজারে এসেছি। কিন্তু বাজারে মাস্ক বিহীন মানুষের জটলা দেখে আমরা অবাক।এই বিষয়ে রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ মো : আব্দুল মান্নান ঢাকা নিউজ এক্সপ্রেস কে জানান, রানীশংকৈল থানার পুলিশ করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে গ্রাম ও বাজারগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধির উপর কাজ করে যাচ্ছে। আর এমন কাজ রানীশংকৈল পুলিশের অব্যাহত থাকবে।এদিকে বিভিন্ন সময়ে রানীশংকৈল বাজারগুলোতে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা আদায় করলেও বাজারগুলোতে এর কোনো প্রভাব পড়েনি বলে মনে করছেন রানীশংকৈল সচেতন মহল।
Development by: webnewsdesign.com