
নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২ | প্রিন্ট
খুলনায় শিক্ষক হত্যা, দুজনের যাবজ্জীবন
-ফাইল ছবি
খুলনার মাত্তমডাঙ্গা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনজির আহমেদ ওরফে মুনজির মাস্টার হত্যা মামলায় আদালত দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কে এম ইকবাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন গিলাতলা ১ নম্বর কলোনীর মো. সরোয়ার হোসেন ওরফে সানোয়ারের ছেলে আনুয়ার হোসেন ও একই এলাকার মো. গোলাম জিলানী মল্লিকের ছেলে মো. আশ্রাফ আলী। দণ্ডপ্রাপ্তরা চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য বলে পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হত্যা ঘটনার বিস্ফোরক অংশের রায়ে অভিযুক্ত দুজনকে আরো ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা এজাহার ও আদালতের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রায় ১৭ বছর আগে ২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে খুন হন শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও খানজাহান আলী থানার তৎকালীন বিএনপি সভাপতি মুনজির আহমেদ। তিনি স্থানীয় এজিএম যুব সংঘের সদস্যও ছিলেন। এদিন দিবাগত রাত ৯টার দিকে মাত্তমডাঙ্গা যুব সংঘে অবস্থানকালে কয়েকজন সন্ত্রাসী সেখানে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগে সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ করে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। এরমধ্যে দুটি বোমা মুনজির মাস্টারের হাতে পিঠে লাগে। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বেনজীর আহমেদ অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা ও বোমা বিস্ফোরণের পৃথক ধারায় থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার হত্যা ও বোমা অংশের তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন খানজাহান আলী থানার এসআই মো. ফারুকুল ইসলাম। তিনি একই বছরের ১২ ডিসেম্বর বোমা ও ২০০৬ সালের ৩০ জুন মুনজির মাস্টার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে দাউদ, মঈন ও নেয়ামুল ইসলাম কুটি ক্রসফায়ারে নিহত হয়। অপরদিকে এ মামলার অপর আসামি আরিফুর রহমানকে রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা থেকে অব্যহতি পান।
আদালত মামলার রায়ে ৬ জন আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তারা হলেন, বাদশা শেখ, সোহেল, রুবেল, মেজবাহ উদ্দিন মুকুল, আহাদ ও একেন্দার ওরফে এসকেন।
Posted ৬:১৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
dhakanewsexpress.com | Masud Rana