
নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
‘এয়ার অ্যাস্ট্রা' চূড়ান্ত অনুমোদন পেল আকাশে ওড়ার
-সংগৃহীত
ফ্লাইট পরিচালনার জন্য গত বছরই বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে অনুমোদন পেয়েছিল নতুন বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’। কিন্তু করোনার কারণে সে সময় যাত্রা শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। অবশেষে দেশের আকাশে ফ্লাইট পরিচালনার চূড়ান্ত অনুমোদন পেল বেসরকারি নতুন এয়ারলাইন্স কোম্পানিটি।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এয়ার অ্যাস্ট্রাকে আকাশে ওড়ার চূড়ান্ত অনুমতি দেয়।
বিকেলে বেসরকারি এই এয়ারলাইন্সটির উপ-ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) সাকিব হাসান শুভ ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেবিচক থেকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেটের (এসিও) প্রয়োজন হয়। সেটি তারা আজ পেয়েছেন। ফলে এখন থেকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কোনো বাধা থাকল না। ফ্লাইট পরিচালনার জন্য পার্কিং স্টেশন হবে শাহজালাল বিমানবন্দরে। এছাড়াও বিকল্প পার্কিং স্টেশন থাকবে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে। প্রয়োজনে রাতে এয়ারক্রাফটগুলো সিলেটে রাখা হবে। আপাতত নতুন এই এয়ারলাইনসটি কক্সবাজার ও সিলেট রুটে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দেবে। এছাড়া তারা অন্য সব রুটেও ফ্লাইট পরিচালনা করবে।শুভ, জনসংযোগ কর্মকর্তা, এয়ার অ্যাস্ট্রা।
গত ২৫ বছরে দেশে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এছাড়া বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইনস, বেস্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার। সবশেষ করোনার মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে রিজেন্ট এয়ার।
বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও পরিচালনা করত।
এয়ার অ্যাস্ট্রা ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বেবিচকের কাছে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি ও ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন জমা দেয়। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তারা এনওসি পায়। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি শেষ সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছিল তারা। কিন্তু করোনা ও বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ রাখার স্থান সংকটের কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিলম্ব হয়।
জানা গেছে, হারুন অর রশিদ নামের একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এয়ার অ্যাস্ট্রার অর্থায়ন করছেন। যিনি জাপানে বসবাস করেন।
Posted ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর ২০২২
dhakanewsexpress.com | Masud Rana