ধর্ষণের অভিযোগকারী ব্লাস্ট এনজিওকর্মীর বিরুদ্ধে বিজিবির দায়েরকৃত ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। আজ রবিবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যার মামলা নং সিআর-২৯৭/২০। প্রতিবেদন জমার পর আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন বিচারক।
আদালতে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আ্যডভোকেট সাজ্জাদুল করিম ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
প্রতিবেদন জমা করে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের আ্যডভোকেট সাজ্জাদুল করিম জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে এনজিওকর্মীটি বিজিবির মতো একটি বাহিনীর মানহানি করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে সেটি উঠে এসেছে। পরবর্তী ধার্য তারিখে মামলার শুনানি হবে।
গত ৮ অক্টোবর টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া চেকপোস্টে অটোরিকশা যাত্রী ব্লাস্ট এনজিওকর্মী ফারজানা আক্তারকে তল্লাশি করে বিজিবি সদস্যরা। এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন ওই এনজিওকর্মী।
ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করে গত ১০ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফারজানা আক্তারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ৫০০ ধারায় ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করে বিজিবির নায়েব সুবেদার বাদী মোহাম্মদ আলি মোল্লা। মামলাটি তদন্ত করেন টেকনাফ থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) শরিফুল ইসলাম। আজ রবিবার মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com