করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৪২৭ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা সংগঠন ছায়ানট। গতকাল গণমাধ্যামে পাঠানো ছায়ানট সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি তুলে ধরা হলো।
‘করোনা ভাইরাসজনিত দুর্যোগের সময় রমনার বটমূলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন না করে বরং বিপন্ন দুঃস্থ মানুষকে অন্ন যোগানোর কাজে যুক্ত হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছায়ানট।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বটমূলে ঐতিহ্যবাহী আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রস্তুত হচ্ছিল ছায়ানট। কিন্তু বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব যখন চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন তখন অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ত্যাগ করে দুর্গত জনগণের পাশে দাঁড়ানোকেই বেশি জরুরি মনে করছে ছায়ানট।
সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয় এবারের মহান বিজয় দিবস থেকে।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দুঃস্থ শিশুকর্মহীন দিনমজুরসহ দরিদ্রদের ত্রাণ সহায়তায় যুক্ত হয়েছে ছায়ানট। বাঙালির আপন সত্তার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আর মানবকল্যাণের ব্রত নিয়ে ১৯৬১ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে আসছে এই সংগঠন। ১৯৭১ সালে দেশকে শত্রুমুক্ত করার সশস্ত্র সংগ্রামের সময় ছাড়া আর কখনো বন্ধ হয়নি রমনার বটমূলের পহেলা বৈশাখের উদযাপন।
করোনাভাইরাস সৃষ্ট এই মহাসংকটের কালে ব্যক্তি পর্যায় থেকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী চলতে এবং নিরাপদ থাকতে ও সকলকে নিরাপদ রাখতে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছে ছায়ানট।’
Development by: webnewsdesign.com