
উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঢোল মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এহতেশাম হায়দার রুবেলকে লাঠি পেটা করে গুরুতর আহত করেন নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তিযোদ্ধা শেখ মজিবুর রহমান বলেন, দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সোনাচাকা গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ এহতেশাম হায়দার রুবেলের ঢোল প্রতীকের প্রচারণার সময় সোনাচাকা গ্রামে মাইক ভাংচুর করা হয় । রুবেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করে আজ দুপুর আড়াই ঘটিকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব রায়হানকে জানান । নির্বাহী কর্মকর্তার রুম থেকে বের হয়ে নীচে দেখা উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব সামসুদ্দিন কালু’র সাথে । তিনি রুবেলকে কেন প্রার্থী হয়েছে? একথা বলার সাথে অতর্কিত হামলা চালায় । আমি আলগে গিয়ে মারধরের কথা নির্বাহী স্যারকে ফোন করে জানাই । স্যার আমাকে বলেন, আমি ওসিকে জানাচ্ছি । কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয় । এরপর রুবেল কোথায় আমি আর জানিনা ।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে থাকা রুবেলের আত্মীয় তাঁকে চিকিত্সার জন্য দ্রুত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
উল্লেখ্য, সৈয়দ এহতেশাম রুবেল সেনাবাহিনীর অবঃ সৈনিক ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আপন চাচাতো ভাই ।
চলতি ইউপি নির্বাচনে দৌলখাঁড় ইউনিয়নে স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী । সূত্র আরো জানায়, ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন একই গ্রামের সাইফুর রহমান বাবলু । অভিযোগ আছে বাবলু একজন যুদ্ধাপরাধীর সন্তান । উপজেলা চেয়ারম্যান স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান হয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীর সন্তানকে নৌকার টিকেট পাইয়ে দেন । এখন টাকা জায়েজ করতে রুবেলকে প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করেন । ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব রায়হান সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রুবেল আমার কাছে এসেছেন সত্য । কিন্তু ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না এবং এ বিষয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি ।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, তিনি কোন অভিযোগ পাননি ।
উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।