অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ। তিনি নাঙ্গলকোট মডেল মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। ক্ষমতার দাপটে তিনি ধরাকে স্বরাজ্ঞান করে হয়েছেন কোটিপতি। একজন সামান্য শিক্ষক থেকে তিনি আজ ঢাকার শেওলাপাড়ায় অত্যাধনিক ২টি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। কুমিল্লার রাণীর বাজারে ঘড়েছেন আলীশান বাড়ী এবং নিজ এলাকা নাঙ্গলকোটে করেছেন ৬ তলা বাড়ী। তবে কিভাবে তিনি বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন? -এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের।
নাম না প্রকাশ করা শর্তে অনেকে অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ বাস সেন্ডিকেট, সিএনজি সেন্ডিকেট, খাদ্য গুদাম সেন্ডিকেট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা মাসোয়ারা হিসেবে হাতিয়ে নেয়। নাঙ্গলকোট মহিলা মডেল কলেজটি নাঙ্গলকোটের জনপ্রিয় সাংসদ প্রয়াত জয়নাল আবদীন ভূঁইয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ ক্ষমতার দাপটে নিজ বাবার নামে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দেখিয়েছেন। হোসেন এন্ড সন্স এর নামে ত্রাণের ব্রীজ, এলজিআরডি এর রাস্তা বরাদ্ধ নিলেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কামিয়েছেন অনেক টাকা। যার কারণে কাজের মান হয়েছে নিম্নমানের। কলেজ অধ্যক্ষের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরও ক্ষমতার দাপটে আজো নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত রেখে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। জনগনের প্রশ্ন তিনি নিজেকে ১ জন সৎ রাজনীতিবীদ হিসেবে পরিচিতি দিলেও তিনি কিভাবে ১ জন সামান্য শিক্ষক থেকে এতকিছুর মালিক হয়েছেন। তাঁর অন্যায় কাজে কেউ বাঁধা সাজে না, কারণ তিনি দলের শীর্ষ নেতা। তাই রসিক মানুষ কৌতুহল করে বলেন ‘ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা’!
নাঙ্গলকোটের আপামর জনসাধারণের মুখে মুখে চলছে ‘অধ্যক্ষ আবু ইউসুফের বিশাল সম্পত্তির মালিক হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, দূর্ণীতি দমন কমিশনের উচিত-অধ্যক্ষ আবু ইউসুফের বিশাল সম্পত্তির মালিক হওয়া নিয়ে তদন্ত করা। কারণ-সমাজে ভদ্রবেশী অনেক ব্যক্তি আছেন ‘যারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দূর্ণীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পত্তির মালিক’।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আবু ইউসুফের বক্তব্য জানতে বারবার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
Development by: webnewsdesign.com