মুক্তিযুদ্ধ ৭১ নিউজ, নিজস্ব প্রতিবেদক: অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া দুরন্ত শৈশবে, বই আনন্দ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ৫ম দিনে ০৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার পরিদর্শন শেষে দেয়া বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১২ বছর যাবত শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। এখানে কোনো ধর্ম-বর্ণ, ধনী-গরীব শ্রেণির ভেদাভেদ নেই, সকলের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। শিশুদের শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী ব্যবস্থা নিয়েছেন। শিশু-বয়স্ক ও মহিলাদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। আজকে ১২ বছর পূর্তিতে সকলের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে শিক্ষাকে একটি উচ্চতর স্থানে নিয়ে গেছেন তিঁনি।
দুরন্ত শৈশবে, বই আনন্দ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ৫ম দিনে প্রদর্শনী দেখতে সর্বশ্রেণির দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় ছিলো।
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাইস চ্যান্সেলর, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদশে এর সভাপতিত্বে ৩১ ডিসেম্বর, শুক্রবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবুর দুরন্ত শৈশবে, বই আনন্দ শিরোনামে বই উৎসবের তোলা ছবি নিয়ে ৭ দিনব্যাপি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।
যা চলমান থাকবে আগামী ৬ জানুয়ারি ২০২২ইং র্পযন্ত। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
সাবেক শিক্ষা সচিব ও কিউরেটর (বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর) নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান) প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত থেকে প্রধান আলোচকের বক্তব্য বলেন, বইকে ইলেকট্রনিক করে দিতে হবে। যাতে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে পড়া যাবে শেখা যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে লাইব্রেরি রয়েছে, তা তেমন কাজের নয়। স্থানীয় ভাবে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রচুর সংখ্যক বই দিয়ে কমিউনিটি লাইব্রেরি করতে হবে। প্রদর্শনীতে রেললাইনের পাশে বসে মায়ের সাথে শিশু নতুন বই দেখছে, মাঠে-ঘাটে নতুন বই নিয়ে আনন্দে শিশুরা, এটি পুরো বাংলাদেশের চিত্র।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মিজানুর রহমান সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি, ফ্রান্সের প্যারিসে আলোকচিত্র প্রর্দশনী দুরন্ত শৈশবে বই আনন্দ এর আয়োজক ও আওয়ামী লীগ ফ্রান্স শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আব্দুল গফফার সহ সভাপতি আওয়ামী লীগ, কানাডা শাখা, লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, সভাপতি বঙ্গবন্ধু গবষেণা পরিষদ। ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন আলোকচিত্র শিল্পীর মাতা ফজিলা বেগম।