জরায়ুমুখে ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। জরায়ুমুখে ক্যানসারে শুধু আক্রান্ত হওয়াই শেষ কথা নয়। এই ক্যানসার মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে অনেক নারীকে।
যে কোনো বয়সে নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের নারীদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া ৫০ বছর বয়স্ক বা তার চেয়ে বেশি বয়সের নারীরা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। প্রথমে বেশির ভাগ নারী তাদের সমস্যা বুঝতে পারেন না। কী কারণে বা কেন এই ক্যানসার হয়। এছাড়া এসব ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর এর লক্ষণগুলো কী।
জরায়ু ক্যানসারের কারন :
জরায়ু ক্যানসারের প্রধান কারণ হচ্ছে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। এছাড়া অবিন্যস্ত ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে অস্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোষকলার পি-কে টিউমার বলা হয়। এই টিউমার সাধারণ দুই রকমের হয়ে থাকে। বিনাইন বা শিষ্ট টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট বা দুষ্ট টিউমার।
আসুন জরায়ুমুখ ক্যানসারের আরও কয়েকটি বিষয় জেনে নেই।
১. কম বয়সে অর্থাৎ ১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে।
২. ঘন ঘন সন্তান প্রসব।
৩. দারিদ্র্য নারীরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ দারিদ্র্য নারীরা তাদের জরায়ু স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন না।
৪. যৌনকর্মীদের জরায়ু ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
৫. স্বামী যদি একাধিক শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তবে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) স্ত্রী শরীরে সংক্রামণ হয়ে জরায়ু ক্যানসার হতে পারে।
লেখক : গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন,
সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড
Development by: webnewsdesign.com